۶ آذر ۱۴۰۳ |۲۴ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 26, 2024
সম্প্রতি মার্কিন সেনেটে অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে স্বীকৃতি দিয়ে একটি বাইপার্টিজান প্রস্তাব পেশ করা হয়। এরপর ভারত-চীন সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন সেনেটে অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে স্বীকৃতি দিয়ে একটি বাইপার্টিজান প্রস্তাব পেশ করা হয়। এরপর ভারত-চীন সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হাওজা / 'অরুণাচল ভারতেরই' মার্কিন সেনেটে যে প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে তা ভারত - চীন সীমান্ত বিরোধ ব্যাপক মাত্রায় উস্কে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো।

মুহাম্মদ আবদুর রহমান

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, 'অরুণাচল ভারতেরই' মার্কিন সেনেটে যে প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে তা ভারত - চীন সীমান্ত বিরোধ ব্যাপক মাত্রায় উস্কে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ( যা আসলে রাশিয়া ও গুটিকতক ইউরোপীয় দেশ ব্যতীত ইউরোপ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন) চাচ্ছে কোয়াড চুক্তির আওতায় চীনকে সবদিক ঘেরাও করে ফেলতে । ওদিকে অকুস (AUKUS ) চুক্তি করে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিনটি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন হস্তান্তর করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিতে রূপান্তরিত করবে এবং অস্ট্রেলিয়াও দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে চীনকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিম এশিয়ায় ( মধ্য প্রাচ্য ) ইরানের উত্থান , ইরানের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা - মার্কিন - ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ জোট জোরদার

হওয়া , চীনের প্রভাবের ব্যাপক বৃদ্ধি , ইরান - চীন চুক্তি , চীনের মধ্যস্থতায় ইরান - সৌদি কুটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃ প্রতিষ্ঠার চুক্তি , ইসরাইলের নাজুক অবস্থা ও ভঙ্গুর দশা , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীল নক্সা ৭ বছর ব্যাপী চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে ইয়েমেনে বানচাল ও ভণ্ডুল হওয়া , ঠিক একই ভাবে সিরিয়া , ইরাক , লেবানন ও আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের ব্যর্থতা ইত্যাদি অত্র অঞ্চলে ( পশ্চিম এশিয়া : মধ্য প্রাচ্য ) মার্কিন - ন্যাটো উপস্থিতির ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো হয়তো বহিষ্কৃত হতে যাচ্ছে যারফলে তেল গ্যাস সমৃদ্ধ এ অঞ্চলে ইরান , চীন ও অত্র অঞ্চলের দেশগুলো ব্যতীত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা প্রভাব সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হবে অথবা খুব ক্ষীণ মাত্রায় বিদ্যমান থাকতে পারে । আবার ইরান - চীন - রাশিয়া সমঝোতা ও সহযোগিতার ত্রিভুজ এবং সাংহাই - ইউরেশিয়ান জোটের উত্থান ইত্যাদি বিশ্বে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা হেজেমোনি ও প্রভাবকে খর্ব করে দেওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইউক্রেন সংকট সেই অবস্থাকে আরো জটিল ও ত্বরাম্বিত করতে পারে এবং এ সংকটের তীব্র মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ( পশ্চিমা ) অর্থনীতি র ওপর পড়ছে যার বাস্তব ও প্রকট নিদর্শন হচ্ছে গত কয়েক দিনের মধ্যে ৪ বৃহৎ মার্কিন ব্যাংকের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঘটনা । তাই অত্যাসন্ন সংকট থেকে উত্তরণ ও রেহাই পাওয়ার জন্য কোয়াড জোটের খোয়ারে চীনকে আটকানো , সাংহাই - ইউরেশিয়ান জোটকে নিষ্ক্রিয় ও অকার্যকর এবং মধ্যপ্রাচ্যে চীনের প্রভাব ও উপস্থিতিকে দুর্বল করার জন্য ভারত - চীন বিরোধকে নতুন করে তীব্র ভাবে উস্কে দেওয়ার পায়তারা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এ ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে ব্রিটেন ও তার ফেওরা ( কানাডা , অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ) । আর এ তিন ফেও হচ্ছে ব্রিটেনের তিন স্যাটেলাইট রাজ্য । বিশ্বের ওপর আধিপত্য বিস্তারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এ তিন ফেউ বা স্যাটেলাইট রাজ্য সহ ব্রিটেন ইতিমধ্যেই গোপন অ্যাংলোফোনিয়ান জোট গঠন করে রেখেছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রে অরুণাচল কেন্দ্রিক ভারত - চীন বিরোধ ও সংঘর্ষ বাধলে বাংলাদেশ নির্ঘাত হবে এ বিরোধের কুরুক্ষেত্র মার্কিন - ভারত - চীনের মাঝে । বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ ও চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর মার্কিনীদের বহুদিন ধরেই লোলুপ দৃষ্টি রয়েছে এবং এ সুযোগে এখানে ঘাঁটি গাড়তে পারলে চীনকে সবদিক থেকে পুরোপুরি ঘেরাও করা সম্ভব হবে । অতএব সাবধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাতানো ফাঁদ থেকে ! এ ধরনের যে কোন সংকট মিলিয়ন মিলিয়ন নিরীহ নীরাপরাধ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে এবং উদ্বাস্তু ও শরণার্থীতে পরিণত করতে পারে কোটি কোটি মানুষকে । ভারত ও চীনের উচিত নিজেদের বিরোধ নিজেদের উদ্যোগে সমাধান করা এবং বিদেশী শক্তি বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ক্ষেত্রে নাক গলানোর সুযোগ না দেওয়া । কোয়াডের মতো জোট নি: সন্দেহে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে কখনোই শান্তি আনবে না । এ ধরনের চুক্তি ও জোট আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা কেবল বাড়িয়েই দিচ্ছে । ( অরুণাচল)

মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনীতি ও সমাজ অস্তাচলে যাচ্ছে । এ সংকট থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য পশ্চিমারা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ইউক্রেন সংকটের মত নতুন নতুন সংকট তৈরি করবে !! কারণ ভারত ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধাতে বা অন্ততঃ সংকট ঘনীভূত করাতে পারলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও

তার মিত্রদের অস্ত্র ব্যবসায় ও রসদপত্র সরবরাহ এবং সেই সাথে আরো অন্যান্য বাণিজ্য রমরমা ও বিস্তৃত হবে এ অঞ্চলে এবং এরফলে পশ্চিমা অর্থনীতি তখন কিছুটা হলেও চাঙ্গা হতে পারবে। ভারত - চীন বিরোধ নিয়ে এ ধরনের কিছু একটা খ্বাব্ ( স্বপ্ন ) হয়তো দেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .